বাউফলে জোড়া খুনের বাদী সহ দশজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা

বাউফলে জোড়া খুনের বাদী সহ দশজনের বিরুদ্ধে  চাঁদাবাজী মামলা
দেলোয়ার হোসেন,বাউফল প্রতিনিধি :পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা রকিব উদ্দিন রুমন ও যুবলীগ কর্মী ইশাত তালুকদারের জোড়া খুনের বাদী সহ পরিবারের ১০জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার সময় বাউফল প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । প্রেসক্লাবের সহ: সভাপতি ও প্রতিদিনের সংবাদ বাউফল প্রতিনিধি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,কেশবপুর ইউনিয়ন আ’মীলীগের সভাপতি ও কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এবং নিহত রুমনের বড় ভাই সালেহ উদ্দিন পিকু। লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, জোড়া খুনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু,ফারুক আহম্মেদ তাং, রফিকুল ইসলাম, রাসেল হাং,ইব্রাহিম,নুরু ইসলাম,আব্বাস, রাশমোহন, রিন্টু তাং, শুভ সহ ৫৯ জনকে আসামী করে জাড়া খুনের মামলা করা হয়েছে। আমাদেরকে হযরানি ও তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ৪ নং আসামী রাসেল তার স্ত্রী রুমাকে দিয়ে গত ৮নভেম্বর পটুয়াখালী কোর্টে ১০জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন ধারায় একটি মিথ্যা মামলা করে। অথচ জোড়া খুনের পর থেকে কেশবপুর বাজারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তায় ১০পুলিশ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত আছে।এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে পুলিশ জানতো। থানায় মামলা না করে কোর্টে হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা করেছে। আসামীরা বাদী ও বাদীর আত্বীয়স্বজন এবং মামলার স্বাক্ষীদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানোরসহ খুনিদের পক্ষ থেকে তাদের আত্বীয়স্বজনরা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জোড়া খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদেরকে অভিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি করেন। চাঁদাবাজীর মামলার স্বাক্ষী কেশবপুর বাজারের সেবা ফার্মেসীর মালিক জুয়েল তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক কাছে বলেন,আমি সার্বক্ষনিক ফার্মেসীতে থাকি উক্ত তারিখে কোন চাঁদাবাজী ঘটনা ঘটেনি। আর মামলা সস্পর্কে তিনি অবগতও নয়। অথচ উক্ত চাঁদাবাজি মামলায় তাকে ৭নম্বর স্বাক্ষী করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,নিহত যুবলীগ নেতা রুমানের মা ফাতিমা বেগম, মামলার বাদি ও বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু, বোন জেবুন্নাহার অনি, নিহত ইশাদের মা রেহেনা বেগম ও বাবা মোনায়েম তালুকদার ,কেশবপুর ইউপি আ’মীলীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম টিটুসহ কেশবপুর ইউনিয়ন আ’মীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । উল্লেখ্য,গত ২ আগষ্ট রোববার সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে প্রতিপক্ষের হাতে যুবলীগ নেতা রুমন ও তার চাচাতো ভাই ইশাদ তালুকদার খুন হন।